যে কারনে থার্টি ফার্স্ট নাইট হারাম


 যেসব কারনে #থার্টিফাস্ট_নাইট পালন করা হারাম


✘✘ অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা:

এ রাত্রিকে কেন্দ্র করে চলে অশালীন ও বেহায়পনার মহোৎসব। যুবতীরা আঁটসাঁট, অশালীন ও নগ্ন পোষাক পরিধান করে অবাধে চলাফেরা করে।


অথচ এ প্রসঙ্গে নাবী (সা) বলেন: 

"ঐসব নারী যারা হবে পোষাক পরিহিতা কিন্তু নগ্ন। যারা পরপুরুষকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথা বক্র উচুঁ কাঁধ বিশিষ্ট উটের ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না।"

📖সহীহ মুসলিম-২১২৮


✘✘ গান বাজনা:


থার্টি ফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে আয়োজিত বিভিন্ন কনসার্টে নারী পুরুষের একসঙ্গে গান বাজনা, নগ্ন নৃত্য যেন আবশ্যকীয় বিষয় হয়ে দাড়িঁয়েছে। অথচ ইহা আল্লাহ তায়ালা ও রাসূল (সা) সম্পূর্ণ হারাম ও অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন।

📚সূরা লুকমান-৬, সহীহ বুখারী – ৫৫৯০, ৬৮৯১


✘✘ আতশবাজী ও পটকাবাজী:


এ রাতে আনন্দ উল্লাস উপভোগ করার জন্য মধ্যরাত থেকে শুরু হয় আতশবাজী ও পটকাবাজী। যা জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে এবং জনসাধারণের জন্য কষ্টদায়ক হয়। অথচ আল্লাহ বলেন: 

"যা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।"

📚সূরা আহযাব – ৫৮, সহীহ বুখারী-২৯০৫


✘✘ অর্থ অপচয়:


এ রাতকে কেন্দ্র করে অনেক অর্থ অনৈসলামিক ও হারাম কাজে ব্যায় করা হয়। যা অপচয় ও অপব্যয়ের শামিল। আর ইসলাম অপব্যয়কারীকে শয়তানের ভাই হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।

📖সূরা বানী ইসরাঈল ২৬-২৭


✘✘যুবক-যুবতীর অবাধ মেলামেশা:


এ রাত্রিতে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, সমুদ্র সৈকত, নাইট ক্লাব গুলোতে যুবক-যুবতীরা অবাধে মেলামেলা ও অপকর্মে লিপ্ত হয়। অথচ ইসলাম ইহাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে।

রাসূল (সা) বলেছেন: 

"অবশ্যই কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে নির্জনে একত্রিত হলে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান।"

📖তিরমিযী, মিশকাত-১৩১৮, সহীহ


✘✘ নেশাদ্রব্য সেবন:


এ রাতে উশৃঙ্খল যুবক-যুতীরা মদ ও নেশা দ্রব্য পান করে মাতাল হয়ে বিভিন্ন অপকর্ম ঘটায়। আর একারণেই ইসলাম সমুদয় নেশাদ্রব্যকে হারাম করেছে।

📚সূরা মায়েদা-৯০-৯১ ও সূরা নিসা-১৪, 

সহীহ মুসলিম ২য় খন্ড, ৯৬৭ পৃষ্ঠা


✘✘ বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্য:


থার্টি ফাস্ট নাইট ডে উদযাপন সম্পূর্ণরূপে বিধর্মী অপসংস্কৃতি। এ রাত্রিতে অভিবাদন জানানো, আতশবাজী, পটকাবাজী, ফ্যাশন শো, ফায়ার প্লে, ট্যাটো বা উল্কি অংকন, ডিজে ও কনসার্ট, নেশা সেবন সহ বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন ধরণের অনৈসলামিক ও অপসংস্কৃতিক কার্যাবলী চর্চা করা হয়। আর ইসলাম বিধর্মীদের সাথে সাদৃশ্য রাখাকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে।


রাসূর (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করলো সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত।

📚আহমাদ, আবূ দাউদ, মিশকাত-৪৩৪৭


চরিত্র ধ্বংসে বিধর্মীদের নীলনকশা মুসলিম তরুণ-তরুণীদের চরিত্র ধ্বংস করার জন্য ইহুদী-খ্রিস্টানদের নীলনকশার একটি অংশ থার্টি ফাস্ট নাইট। আর একটি জাতিকে ধ্বংস করার মূলহাতিয়ার হচ্ছে যুব সমাজকে ধ্বংস করা। এ লক্ষ নিয়েই তারা সামনে অগ্রসর হচ্ছে। তাই আল্লাহ আমাদেরকে তাদের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন।

📖সূরা বাকারা-১২০ ও সূরা আনআম-১৫


সূরা মায়িদা -৫১

اَوۡلِيَآءَ‌ۘ بَعۡضُهُمۡ اَوۡلِيَآءُ بَعۡضٍ‌ؕ وَمَنۡ يَّتَوَلَّهُمۡ مِّنۡكُمۡ فَاِنَّهٗ مِنۡهُمۡ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا يَهۡدِىۡ الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِيۡنَ‏﴾

 

হে ঈমানদারগণ! ইহুদী ও খৃস্টানদেরকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর যদি তোমাদের মধ্য থেকে কেউ তাদেরকে বন্ধু হিসেবে পরিগণিত করে তাহলে সেও তাদের মধ্যেই গণ্য হবে। অব্যশ্যি আল্লাহ‌ জালেমদেরকে নিজের পথনির্দেশনা থেকে বঞ্চিত রাখেন।


পরিশেষে বলব, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ইসলামী শরিয়তের সাথে সাংঘর্ষিক। অথচ মুমিন জীবন ইলাহী জীবন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। 

অতএব সকল মুসলিম ভাইবোনদের ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার ও অনৈসলামী বা পশ্চিমা সংস্কৃতি পরিহার করে ঈমান রক্ষা করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।


আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর আনুগত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক দান করুন এবং কল্যাণ ও শান্তি বর্ষিত হোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর, তাঁর পরিবার ও সাহাবীগণের ওপর।

Comments

Popular posts from this blog

ব্যাংককে ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক আজ

বাগেরহাটের মোংলায় নদী থেকে অপরিণত এক নবজাতকের মরা‌দেহ উদ্ধার করা

মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ, নারী আটক